Flood in Bangladesh

দেশের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হলেও ৮৮ কিংবা ৯৮ এর মতো ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা নেই বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সাধারণত গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার পানি একযোগে বাড়লে বড় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আপাতত তিন অববাহিকায় একই সঙ্গে পানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই আশঙ্কা নেই বড় কোনো বন্যারও

উজানের ঢলে হু হু করে বাড়ছে যমুনার পানি। এতে বন্যার আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গের লোকজন। অন্যদিকে সুরমা-কুশিয়ারার পানিতে প্লাবিত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। সব মিলিয়ে ১৩ নদীর ২৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় আক্রান্ত দেশের ১৫ জেলা। আশঙ্কা রয়েছে এ পরিস্থিতি আরো অবনতির।
আর যমুনার পানি বাড়ার প্রভাবে পদ্মায়ও পানি বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তাদের তথ্য অনুযায়ী দু’-এক দিনের মধ্যে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ ও ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। এতে আক্রান্ত হবে মধ্যাঞ্চলও।
এ অবস্থায় ৮৮ কিংবা ৯৮ এর বন্যা পরিস্থিতির পূনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে কি-না সেই আশঙ্কায় দেশবাসী। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র অবশ্য সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে। কারণ একই সঙ্গে তিন অববাহিকায় পানি বাড়লে দেখা দেয় বড় বন্যা। এই মূহুর্তে তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে তারা।

আর রাজধানীর আশেপাশের এলাকা বন্যা আক্রান্ত হলেও বড় বিপদের আশঙ্কা নেই।

এছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলেও জানায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

Bonna.JPG

Email

Leave a Reply

Your email address will not be published.